নোকিয়া নিয়ে এলো ইমারসিভ ভয়েস যা বদলে দিবে কলের ধরণ

 নোকিয়া নিয়ে এলো ইমারসিভ ভয়েস  যা বদলে দিবে কলের ধরণ 


নোকিয়া ইমারসিভ ভয়েস 



বর্তমানে ভয়েস কলিং এর ক্ষেত্রে মনোফোনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে আসছে । এতে করে অপরপ্রান্তের কন্ঠসরটিকে যান্ত্রিক সর বলে মনে হয় । মানুষের সরাসরি ভয়েস এবং ফোন কল ভয়েসের ব্যাপক তফাৎ পরিলক্ষিত হয় আসছে । ফোনে কলে কোন ব্যাক্তির কন্ঠ সর আইডেনটি ফাই করা কঠিন ব্যাপার । তবে এখানে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বহুজাতিক মঠোফোন কোম্পানি নোকিয়া । নোকিয়া কোম্পানির প্রযুক্তির মাধ্যমে আগের চায়তে আরো উন্নত মানের ভয়েস কলের সুবিধা পাবে গ্রাহকরা । নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে গ্রাহকের মনে হবে তিনি ফোনের অপর প্রান্তে বসে থাকা কোন ব্যাক্তির সঙ্গে নয় বরং তার মুখোমুখি বসেই কথা বলছে ।


 নোকিয়া কোম্পানির এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে "ইমারসিভ ভয়েস" প্রযুক্তি । যা বদলে দিবে চিরচায়িত যান্ত্রিক ভয়েস কলের । ইমারসিভ ভয়েস প্রযুক্তিকে নোকিয়া কোম্পানির সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক 'ভবিষ্যতের কল, বলে আঙ্খিত করেছেন । এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি  3D সাউন্ড পাবেন । এতে মনে হবে, যার সাথে কথা বলছেন সে আপনার সামনে অবস্থান করছে । কালের প্ররিক্রমায় অন্য সব প্রযুক্তির বেশ পরিবর্তন আসলেও ফোন কলের মানটা এত একটা উন্নত হয় নাই । তবে  নোকিয়া কোম্পানির ইমারসিভ ভয়েস প্রযুক্তি নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে কলের ধরণ ।



কনফারেন্স কলের মান উন্নত করবে 


এই প্রযুক্তিতে  শুধু ভয়েস কলের মান নয় সাথে সাথে  কনফারেন্স কালের মানও বৃদ্ধি করবে । ব্যাক্তির চারপাশের অবস্থার সাথে এই কলের গুনমান পরিবর্তিত হবে । কোন ব্যাক্তি যদি কোন কনফারেন্স কলে যুক্ত হয় ক্লাউডি কোন পরিবেশ থেকে । তাহলেও কলের মান পরিবর্তন করে স্মুথ রিয়েল ভয়েসের ফিল দিবে নোকিয়ার ইমারসিভ ভয়েস প্রযুক্তি । তাছাড়াও কনফারেন্স কলের ক্ষেত্রে ব্যাক্তির অবস্থান বেদে কন্ঠ সরের আলাদা করতে পারবে এই প্রযুক্তি । কেননা এই প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে ( AI ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার । 



কিভাবে নোকিয়ার ইমারসিভ ভয়েস প্রযুক্তি কাজ করে ? 


ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে ইমারসিভ ভয়েস প্রযুক্তির কথা । যা কলের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে । ফোনে কথা বললে মনে হবে যে অপর প্রান্তের লোক  পাশেই বসা ।  স্মার্ট ফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মানুষ রিয়েল টাইম অভিজ্ঞতা পাবে । তবে এই ক্ষেত্রে ফোনে দুইটি মাইক্রোফোন ইনস্টল করতে হবে । এটি  5G অ্যাডভান্সডের অংশ । 



প্রযুক্তির এই আষ্কিক  পরিবর্তন সত্যিই প্রশংসনীয় । নোকিয়া কোম্পানি এই প্রযুক্তি বাজারের আনতে অচিরে লাইসেন্স এর আবেদন করবে । তবে এটি সর্বক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযুক্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে । 


Post a Comment

0 Comments